‘পাইলিং’ হচ্ছে বিল্ডিং বা স্থাপনার এক ধরনের ফাউন্ডেশন যা স্থাপনার নিচে মাটির গভীরে লোড স্থানান্তর করে স্থাপনাকে দৃঢ় ভিত্তি প্রদান করে। এটা সাধারণত করা হয়ে থাকে যেসব জমিতে মাটির ভারবহন ক্ষমতা কম কিন্তু স্থাপনাটি বহুতলভিত্তিক। এটাকে স্থাপনার কলামের সাথে তুলনা করা যায় যা মাটির গভীরে স্থাপিত হয়।
পাইলিং কয়েক ধরনের হতে পারে। যেমনঃ
এগুলোর মধ্যে কাস্ট-ইন-সিটু পাইল সবচেয়ে বেশী প্রচলিত। এটা সাধারনত সিলিন্ডারাকৃতির হয়ে থাকে যার ব্যাস বা ডায়া ১৮ ইঞ্চি থেকে ৩০ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। তবে ক্ষেত্রবিশেষে এটা আরো বেশি হতে পারে। আর দৈর্ঘ্য নির্ভর করে মাটির লেয়ারের উপর যা সয়েল টেস্ট রিপোর্টে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে বেশিরভাগ বহুতল স্থাপনার ভিত্তিতে এই পাইলিং ব্যবহৃত হয়েছে।
স্যন্ড পাইলের ধারণাটি অপেক্ষাকৃত নতুন হলেও ক্ষেত্রবিশেষে এটি বেশ কার্যকর। সাধারনত কম তলা বিশিষ্ট স্থাপনা যেখানে মাটির ভারবহন ক্ষমতা কম সেখানে স্যন্ড পাইল করে সেটা বৃদ্ধি করা যায়। তবে অনেক তলাবিশিষ্ট ভবনের ক্ষেত্রে এটি ব্যাবহার করা যায় না।
প্রি-কাস্ট পাইলের ক্ষেত্রে সম্পুর্ন পাইল আগে কাস্টিং বা ঢালাই করা হয় সুবিধামত স্থানে (মাটির অভ্যন্তরে নয়) । তারপর এট মেশিনের সাহায্যে বা হ্যমারিং করে সাইটের ভুমিতে যথাস্থানে ঢোকানো হয়।
শোর পাইল করা হয় মাটির পার্শ্বচাপ প্রতিরোধ করার জন্য। যেই সমস্ত স্থাপনায় বেসমেন্ট থাকে, কিংবা অন্য কোন কারনে মাটি কাটতে হয়, সেখানে পাশের মাটি যাতে ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, তাই এই ব্যবস্থা করা হয়। এটার সাথে শেয়ার ওয়ালের তুলনা করা যায়। এটা প্রি কাস্ট বা কাস্ট ইন সিটু বা টিম্বার পাইল হতে পারে।
টিম্বার পাইল হলো গাছকে (সাধারণত শাল গাছের কান্ড) পাইল হিসেবে ব্যবহার করা। এটা ব্যবহার করা হয় কমতলা বিশিষ্ট ভবনে।