‘সয়েল টেস্ট’ কথাটির শাব্দিক অর্থ হলো মাটি পরীক্ষা। তবে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ‘সয়েল টেস্ট’ বা ‘সাব-সয়েল ইনভেস্টিগেশন’ বলতে স্থাপনা বা বিল্ডিং এর ভুমির মাটি পরীক্ষা বোঝায়। যে কোন ধরনের স্থাপনা যেমন, আবাসিক ভবন, বাণিজ্যিক ভবন, স্কুল-কলেজ, মসজিদ-মন্দির, হাসপাতাল, শপিং কমপ্লেক্স, মার্কেট, কারখানা, গার্মেন্টস, গুদাম ঘর ইত্যাদির জন্য সয়েল টেস্ট করা অপরিহার্য। আবার ব্রিজ-কালভার্ট, সড়ক-মহাসড়ক, রেললাইন, এয়ারপোর্ট, পাওয়ার প্লান্ট ইত্যাদির জন্যও সয়েল টেস্ট প্রয়োজন।
নির্মানকাজ শুরুর আগেই, বিশেষত ডিজাইন করার আগেই এটা করা হয়। কারন ফাউন্ডেশন ডিজাইন এর জন্য এটি একটি অপরিহার্য পূর্বশর্ত। এটার মুল উদ্দেশ্য হলো মাটির ‘বিয়ারিং ক্যাপাসিটি’ বা ‘ভারবহন ক্ষমতা’ নির্ণয় করা। আবার, ফাউন্ডেশনের ধরন সম্পর্কেও সয়েল টেস্ট এর মাধ্যমে ধারণা পাওয়া যায়। অর্থাৎ, ফাউন্ডেশন শ্যালো বা অগভীর হবে ( যেমনঃ ফুটিং ) নাকি ডিপ বা গভীর হবে ( যেমনঃ পাইলিং ) তা বোঝা যায়।
এই ‘বিয়ারিং ক্যাপাসিটি’ এবং ‘ফাউন্ডেশন টাইপ’ সয়েল টেস্ট রিপোর্টে উল্লেখ থাকে। সয়েল টেস্ট রিপোর্ট অনুযায়ী ফাউন্ডেশন ডিজাইন করা হয়ে থাকে। এছাড়াও এস.পি.টি., সয়েল টাইপ, স্ট্রাটিফিকেশন, বিভিন্ন টেস্ট রেজাল্ট, বোরিং পয়েন্ট লেআউট ইত্যাদি রিপোর্টে অন্তর্ভুক্ত থাকে।
সয়েল টেস্ট না করলে ফাউন্ডেশন ডিজাইন অসম্ভব। সঠিক ফাউন্ডেশন ডিজাইন না থাকলে স্থাপনা সেটেল করা বা দেবে যাবার সম্ভাবনা থাকে যা পরবর্তিতে ক্র্যাক বা ফাটল সৃষ্টি করে স্থাপনার জন্য ক্ষতি বা হুমকিস্বরূপ হয়ে দাড়াতে পারে। আবার যে সব এলাকায় মাটি দুর্বল সেখানে সঠিকভাবে পাইলিং ডিজাইন করার জন্য সয়েল টেস্ট প্রয়োজন। ভূমিকম্পের প্রভাব প্রতিরোধে সঠিকভাবে পাইলিং করতে হয়।
-ইঞ্জিঃ ইমতিয়াজ মাহমুদ
ফাউন্ডেশন ও স্ট্রাকচারাল কন্সাল্ট্যান্ট
Post comments: 2
মাটির ভারবহন ক্ষমতা নির্নয়ের ধাপ গুলো পর্যায় ক্রমিক জানালে খুব হেল্প হত,,
Your comment…
সোহাগ
Your comment.কিভাবে কার সাহায্যে সয়েল টেষ্ট করবো। ..